মাঘের মাঝামাঝি শীতের দাপটে বিপর্যস্ত জনজীবন, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে ঠান্ডায় শরীর স্থবির হয়ে যাচ্ছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও ছিন্নমূল নিম্ন আয়ের মানুষ। এসব মানুষের অধিকাংশের নেই শীতবস্ত্র। তাই তারা খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শরীরে তাঁ দিচ্ছেন।
আবহাওয়া অফিস জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। শুক্রবার (৩০ জানুয়ায়রি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি ও টেকনাফে ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া ঢাকা বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল গোপালগঞ্জে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মাদারিপুর ও গোপালগঞ্জে ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ময়মনসিংহ বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ময়মনসিংহে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সীতাকুন্ডে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটি ও টেকনাফে ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ২৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।রাজশাহী বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বগুড়ায় ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুর বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৭ দশকি ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রংপুর, তেঁতুলিয়া ও ডিমলায় ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খুলনা বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বরিশাল বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বরিশালে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খেপুপাড়ায় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।